গর্ভবতী মায়ের জন্য স্বাস্থ্য টিপস।

গর্ভকালীন সময়ে গর্ভবতী মায়ের জন্য চাই বিশেষ যত্ন। 

কারণ গর্ভকালীন সময়টি একটি মায়ের ও তার সন্তানের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময়। মহিলাদের গর্ভধারনের পূর্বেই নিজের স্বাস্থ্য, গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার। কেননা এই সময়টিতে সামান্য ভুল কিংবা অসাবধানতার কারণে ঘটে যেতে পারে অনাকাঙ্খিত বিপদ।

একজন সুস্থ্য মা-ই পারে একটি সু্স্থ ও স্বাভাবিক শিশুর জন্ম দিতে। তাই গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রয়োজন সঠিক যত্ন ও পরিচর্যা।

এছাড়াও এই সময় মায়ের খাবারের পুষ্টিগুন সম্পর্কে অনেকটা পরিস্কার ধারণা রাখা উচিত।

  • গর্ভধারনের পূর্বে মানসিক ভাবে নিজেকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত হয়ে নিন। এসময় গর্ভধারণ ও সন্তান পালন সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হওয়া দরকার।
  • গর্ভাবস্থায় বেশি বেশি পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। কারণ গর্ভকালীন সময়ে খাওয়া খাবারগুলোই আপনার সন্তানের শারীরিক গঠনের উপর প্রভাব ফেলবে। তাছাড়া এসময় শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে পান করতে হবে প্রচুর পানি ও ফলের রস।
  • গর্ভাবস্থায় শিশুর স্বাস্থ্য মায়ের স্বাস্থ্যের ওপর নির্ভর করে। গর্ভবতী অবস্থায় মা যে খাবার গ্রহণ করবে, তার উপর শিশুর বিকাশ ঘটে। তাই এমন খাবার গ্রহন করা উচিত যা পুষ্টিকর, যেমন তাজা ফল, সবুজ সবজি, মাছ, মাংস, দিম, দুধ, দই ইত্যাদি উপযোগী খাবার। তাছাড়া খাবারে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’, ফাইবার্স, আয়রন, ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাদ্য অবশ্যই থাকার দিতে লক্ষ্য রাখা উচিত। আর অকারণে ওষুধ সেবন করবেন না।
  • প্রতিদিন হালকা হাটাহাটি গর্ভবতী নারীদের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটলে শরীরের মাংসপেশি সচল থাকবে, এবং শরীরে পানি আসবে না।
  • স্বাভাবিক অবস্থাতেই একজন লোকের দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার ঘুমানোর প্রয়োজন। গর্ভবতীদের ঘুমের প্রয়োজন আরও বেশি। গর্ভবতী নারীদের কমপক্ষে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ঘুমানো উচিৎ। রাতে ঘুম কম হলে দিনে ঘুমিয়ে নিন সুবিধা অনুয়ায়ী।
  • গর্ভাবস্থার প্রথম কয়েকমাসে গর্ভবতী মা বেশ ক্লান্তি অনুভব করেন, এটি হয়ে থাকে উচ্চ মাত্রার প্রেগনেন্সি হরমোনের কারণে। এই সমস্যার সমাধানে বেশি বেশি বিশ্রাম নেয়া প্রয়োজন।
  • চা, কফি, কোলা এবং এনার্জি ড্রিংক শরীরে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। অনেক বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলে গর্ভপাতের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও অনেক বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করলে কম ওজনের শিশু জন্মগ্রহণ করে। তাই এই সব ক্ষতিকর খাবার থেকে দূরে থাকুন।
  • গর্ভাবস্থায় উঁচু এবং পেনসিল হিল পড়া থেকে বিরত থাকুন এই সময়ে। এসময়ের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হলো কাপড় এবং রাবারের নরম জুতা, যা আপনার পাকে দেবে আরাম।
  • গর্ভবতী মহিলার সন্তান জন্মের সময় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের সময় প্রয়োজনীয় রক্তের যোগানের ব্যবস্থা রাখুন। এবং রক্তদানের পূর্বে এইডস (HIV) ভাইরাস অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।

কখন ডাক্তারের সাহায্য নেয়া প্রয়োজন

গর্ভাবস্থা যে লক্ষণগুলো দেখলে দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন তা হচ্ছে –

  • খিঁচুনি আসলে
  • মাথা ঘোরালে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে
  • রক্তপাত হলে বা তরল নিঃসৃত হলে
  • শ্বাসকষ্ট হলে
  • হৃদস্পন্দন বেশি হলে বা বুক ধড়ফড় করলে
  • শিশুর নড়াচড়া কমে গেলে।
  • ঘন ঘন বমি বমি ভাব থাকলে বা বমি হলে
  • হাঁটতে অসুবিধা হলে
  • জয়েন্ট ফুলে গেলে

একজন গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্ব একটি পরিবারের প্রত্যেকটি সদস্যের। গর্ভবর্তী সময়ে একটি মায়ের ও তার সন্তানের সবচাইতে গুরুত্ব সহকারে যত্ন নেওয়া উচিত। সুতরাং আপনার পরিবারে যদি কেউ গর্ভবতী থাকে তাহলে তার প্রতি অধিক মনোযোগ দিন যাতে ভবিষ্যতের সম্ভাবনাটি সুস্থ দেহে পৃথিবীর আলো দেখতে পারে।

স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য, সাধারন স্বাস্থ্য-সমস্যা ও সমাধান, দৈনন্দিন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার সাধারন জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চোখ রাখতে পারেন-ঃ

Youtube (HealthSenseBangla)

Facebook (ShahPharmachy)

Twiter (shah_pharmacy)

Instagram (ShahPharmacy)

BlogSpot

আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানুন এবং সুস্থ থাকুন।


No comments

Powered by Blogger.