সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জি হয় যে ৮ টি খাবারে; (The 8 Most Allergic Foods)
খাবারে অ্যালার্জি খুবই কমন একটি সমস্যা। প্রায় প্রতিটি পরিবারেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত রোগীর দেখা পাওয়া যায়। এলার্জি থেকে শরীর চুলকায়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকা চাকা হয়ে ফুলে যায়।
অনেক ক্ষেত্রে লাল হয়ে যায় এবং চুলকানির তীব্রতা এতই ব্যাপক হয় যে, আক্রান্ত ব্যক্তির সহ্যের ক্ষমতা পর্যন্ত থাকে না।
অনেকেরই বিভিন্ন খাবার খেলে অ্যালার্জি হয়। কারও দুধে এলার্জি, কারও ডিমে, আবার কারও বিশেষ কোন সবজি কিংবা ফলে। একজনের যে খাবারে অ্যালার্জি হয়ে, অন্যজনের সেই খাবারে না ও হতে পারে।
জেনে নিন ৮ টি বিশেষ খাবার সম্পর্কে যার ফলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশী মানুষ অ্যালার্জিতে ভুগেঃ-
- দুধ ঃ-
দুধে এলার্জি থাকে। বিশেষ করে গরুর দুধে। তিন বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আড়াই শতাংশ শিশুর গরুর দুধে অ্যালার্জি থাকে। তবে দুধে অ্যালার্জি থাকা আর ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স, কখনই এক নয়। তবে ৩ বছরের উপরে এই এলার্জি কমতে থাকে এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের মাঝে খুবই কম দেখা যায়। - ডিম ঃ-
ডিম থেকে এলার্জি বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে দেখা দেয়। তবে অধিকাংশ শিশুই দুধের মতোই ডিমের অ্যালার্জিতে ভোগে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ডিমের সাদা অংশে থাকা প্রোটিন থেকে এই অ্যালার্জি হয়। তাই যাদের ডিমের কারনে শরীরে এলার্জির সৃষ্টি হয়, তাদের ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকাই শ্রেয়। - ট্রি নাটস ঃ-
কাজু, পেস্তা, আমন্ড, আখরোট, ব্রাজিল নাট, এই ধরনের গাছ বাদামে অনেকেরই অ্যালার্জি থাকে। তবে কোনও এক ধরনের বাদামে অ্যালার্জি থাকা মানেই অন্য বাদামেও অ্যালার্জি হবে এমনটা নাও হতে পারে। - চিনা বাদাম ঃ-
চিনাবাদাম এলার্জি খুব গুরুতর এবং সম্ভাব্য মারাত্মক এলার্জি প্রতিক্রিয়া হতে পারে। শিশুদের মধ্যে প্রায়ই চিনা বাদামে অ্যালার্জি দেখা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে চিনাবাদাম এলার্জি ৪-৮% শিশু এবং ১-২% বয়স্কদের উপর প্রভাব ফেলে। - শেল ফিশ ঃ-
শেল ফিশ মানে সেই ধরনের মাছ কে বুঝায় যে মাছ শক্ত খোসা বা আবরন দ্বারা ঢাকা থাকে। শেল ফিশে অ্যালার্জি খুবই কমন একটি অ্যালার্জি। বিভিন্ন প্রকারের শেল ফিশ যেমন চিংড়ি, কাঁকড়া, ওয়েস্টার, শামুক জাতীয় খাবার যার শক্ত খোল রয়েছে তার থেকেই অ্যালার্জি হয় বিশ্বের প্রায় ৬০% মানুষের। - গম বা গমের আটার তৈরি খাবার ঃ-
গমের আটা, পাঁউরুটি খেলে অ্যালার্জির সম্ভাবনা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। শিশুদের যদি গমে অ্যালার্জি থাকে, তাহলে বার্লি বা অন্যান্য দানাশস্যের ক্ষেত্রেও সেই অ্যালার্জি দেখা যেতে পারে। - সয়াবিন জাতীয় খাবার ঃ-
সাধারণত শিশুদের ক্ষেত্রেই সয়াবিন জাতীয় খাবার থেকে অ্যালার্জি দেখা যায়। সাধারণত সয় বিনস, সয়া মিট এবং সয়া মিল্কে অ্যালার্জি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১০ বছর বয়সের পর থেকে কমে আসে। - মাছ ঃ-
অনেকের কোনও এক বিশেষ প্রকার মাছে অ্যালার্জি থাকে, আবার অনেকের স্যালমন, টুনা, ম্যাকরলে জাতীয় সামুদ্রিক মাছ খেলে অ্যালার্জি হয়।
তাছাড়া বেশ কিছু ফল ও সবজি থেকে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়।
যেমন বেগুন, গাজর, টমেটো, পিচ ফল, কলা থেকেও অনেকেই অ্যালার্জির সমস্যায় ভোগেন।
স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য,
সাধারন স্বাস্থ্য-সমস্যা ও সমাধান, দৈনন্দিন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার
সাধারন জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চোখ রাখতে পারেন-ঃ
Official Page (HealthSenseBangla)
No comments