What to eat and what not to eat when you have constipation.........??? || কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী খাবেন আর কী খাবেন না.........???
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষ এই সমস্যায় ভোগে। অনেকেরই টয়লেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, কিন্তু পেট পরিষ্কার হয় না। অস্বাস্থ্যকর এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস, অপুষ্টিকর খাবার ইত্যাদির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়ে থাকেন তারা।
কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) কী?
‘কোষ্ঠ ’ একটি বাংলা শব্দ। যার অর্থ ‘মল’। আর ‘কাঠিন্য’ মানে হল- ‘কঠিন আকারে মলত্যাগ করা’। যদি সপ্তাহে ২-৩ বার বা তার কম বার মলত্যাগ হয় অথবা মল যদি অতিরিক্ত কঠিন বা শুষ্ক হয় এবং সন্তোষজনক মলত্যাগ যদি না হয় তাহলে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। আর যখন এটা প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ হয় তাহলে সেটাকে দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য’এর লক্ষণসমুহঃ-
- মল শুষ্ক, শক্ত ও কঠিন মল
- মলত্যাগে অনেক বেশি সময় লাগা
- মল ত্যাগের জন্য অনেক বেশি চাপের দরকার হওয়া
- অধিক সময় ধরে মলত্যাগ করার পরও অসম্পূর্ণ মনে হওয়া
- মলদ্বারের আশপাশে ও তলপেটে ব্যথা অনুভব
কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারণঃ-
বিভিন্ন কারণে মানুষের দেহে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। ডাক্তারদের মতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সচরাচর উৎস হলো
- আঁশযুক্ত খাবার এবং শাকসবজি কম খাওয়া।ৎ
- পানি কম খাওয়া।
- দুশ্চিন্তায় ভোগা।ৎ
- কায়িক পরিশ্রমের অভাব।
- অন্ত্রনালিতে ক্যানসার।
- ডায়াবেটিস।
- মস্তিষ্কে টিউমার ও রক্তক্ষরণ।
- দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকা।
- ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (ডায়রিয়া বন্ধের ওষুধ, পেট ব্যথার ওষুধ) ইত্যাদি।
এছাড়া ঋতু পরিবর্তনও কখনও কখনও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। এছাড়া, বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন যে, যারা অতিরিক্ত চা বা কফি পান করেন তাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্ভাবনা বেশি। একই সাথে চর্বি জাতীয় ও আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের আশঙ্কা আছে। যারা পানি পানে কৃপণ তারাও এই সমস্যায় সহজে আক্রান্ত হতে পারেন।
কারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগে থাকেন?
কোষ্ঠকাঠিন্য যেকোনো বয়সে যে কোন সময় হতে পারে। তবে গবেষনায় দেখা গেছে বয়স্ক লোক বেশি থাকে। পুরুষ এবং মহিলাদের ভেতর মহিলদের কোষ্ঠকাঠিন্যটি বেশি দেখা যায়। আর বাচ্চাদের মধ্য যারা মায়ের দুধ ছেড়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক খাবারের দিকে যায়, সেসব বাচ্চারা বেশি এ রোগে ভোগেন। এছাড়াও যেসব রোগী অন্য রোগের ফলে চলাফেরা করতে পারেন না (যাদের শুয়ে বসে থাকতে হয়) তারাও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগে থাকেন।
জীবনের যে কোন সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক বিচলিত না হয়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোনো রোগীর যদি রক্তশূন্যতা দেখা দেয় অথবা মল যদি কালো হয়, তাহলে বুঝতে হবে তার জটিল কোন সমস্যা আছে। সে সময় উচিৎ হবে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।
এছাড়াও যদি পেটে ব্যথা থাকে তাহলে তার পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে কিছু পরীক্ষা করা লাগতে পারে। সে সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা করা উচিত। তা না হলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কী খাবেন, কী খাবেন না!!
প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি এবং ফল খেতে হবে। যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। বিশেষ করে যদি আমরা মৌসুমী ফলের সময় ফল খাই তাহলে শরীরের আঁশের অভাব বেশি কমাবে।
আর সবজির ভেতরে ঢেঁড়স, পালং শাক, পুঁই শাক, কচুমুখিতে প্রচুর আঁশ থাকে। এগুলো প্রচুর পরিমাণে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যে; রোগীদের কিছু খাবার কম খেতে হবে। যেমন: গরু- খাসির মাংস, ফাস্টফুড (কেক, বার্গার), চিকেন ফ্রাই, আলু ফ্রাই, চিপস ইত্যাদি সব সময়ই কম খেতে হবে।
রোগী যদি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করতে পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব। এছাড়াও কায়িক পরিশ্রম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক।
স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য,
সাধারন স্বাস্থ্য-সমস্যা ও সমাধান, দৈনন্দিন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার
সাধারন জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চোখ রাখতে পারেন-ঃ
আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানুন এবং সুস্থ থাকুন।
No comments