গরমে বাড়ে ডায়রিয়ার ঝুঁকি।।

তাপমাত্রার পারদ চড়ছে ক্রমশ। গরম আবহাওয়া মানেই বিশেষ কিছু অসুখের বাড়বাড়ন্ত। গরমে ঘেমে গিয়ে ঠান্ডা পানীয়ে চুমুক বা খাওয়া দাওয়ার সামান্য অনিয়ম; এসবের হাত ধরেই হানা দেয় নানা অসুখ। এসব রোগের মধ্যে অন্যতম হলো ডায়রিয়া। এ রোগ একবার যদি বাসা বাঁধে শরীরে, সহজে সুস্থ হওয়া খুব মুশকিল। এমনকি বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

গরমে ডায়রিয়ার মতো অসুখে বেশি আক্রান্ত হয় শিশুরা। বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও কম থাকে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও সময়মতো চিকিৎসা শুরু না করলে এ অসুখ মারাত্মক আকার নিতে পারে। এ সময়ে তেল-মসলাদার খাবার বেশি খেলেই পেটের গোলমাল শুরু হয়। তার ওপর হজমশক্তিও কমে যায়। গরমে তেষ্টা মেটাতে অনেক সময়ে বাইরের পানি খাওয়া হয়। তা থেকেও শরীরে এ রোগ ঢুকতে পারে। এ নিয়েও সতর্ক থাকতে হবে। ডায়রিয়া তিন রকমের হয়। হঠাৎ ডায়রিয়ায় পেট খারাপ, পেট খামছে ধরা, বমি ভাব ও জ্বর আসে। এ সমস্যা দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে।

ডায়রিয়া প্রতিরোধের উপায় কী??

ডায়রিয়া মূলত পানিবাহিত ব্যাকটেরিয়া থেকে ছড়ায়। শরীরের পানি বেরিয়ে যায় বলে এ অসুখ খুবই দুর্বল করে ফেলে। দরকারে স্যালাইনও দিতে হয়।
তবে এ অসুখ থেকে দূরে থাকতে কতগুলো নিয়ম মানতেই হবে-
  •  চিকিৎসকদের মতে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকলে এ অসুখ এড়ানো সম্ভব। রান্নাঘর ও খাওয়ার জায়গা পরিষ্কার রাখুন। বাসন মাজার জন্য পরিষ্কার পানি ব্যবহার করুন। মুখ ধোয়ার সময়ে ব্যবহার করুন পরিষ্কার পানি।
  • সারা বছরই পরিষ্কার পানি খেতে হবে। রাস্তাঘাটের যে কোনো জায়গা থেকে পানি খাবেন না। প্রয়োজনে বোতলবন্দি বা ফোটানো পানি খান। তবে পানি বেশি করে খেতে হবে।
  • গরমের সময়ে খাবার বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। গরম অবস্থাতেই খান। ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করে তবেই খান। কারণ, খাবার ঠান্ডা হলে তাতেও কিছু ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে, যা ডায়রিয়ার মতো সমস্যা ডেকে আনে।
  • ডায়েরিয়ার প্রকোপ থেকে বাঁচতে এ সময়ে রাস্তার খাবার যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে বেশি তেল ও মসলাযুক্ত খাবার একেবারেই খাবেন না। মোট কথা, যেসব খাবারে টক পানি রয়েছে বা যাতে স্যুপের আকারে পানি সরাসরি পেটে যায়, সেসব এড়িয়ে চলুন। অপরিষ্কার হোটেল বা রেস্তরাঁয় না খাওয়াই শ্রেয়।
  • গরমে ফল খাওয়া ভালো। তা বলে কাঠফা?টা গরমে বেরিয়েই রাস্তার কাটা ফল খাবেন না। গোটা ফল কিনে ভালো করে ধুয়ে, তবে খান। শরবত, ঘোল, লেবুর পানির মতো পানীয় রাস্তার ধারের অপরিচ্ছন্ন দোকান থেকে না খাওয়াই শ্রেয়।

স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য, সাধারন স্বাস্থ্য-সমস্যা ও সমাধান, দৈনন্দিন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি সম্পর্কে আপনার সাধারন জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চোখ রাখতে পারেন-ঃ

Youtube (HealthSenseBangla)

Facebook (ShahPharmachy)

Twiter (shah_pharmacy)

Instagram (ShahPharmacy)

BlogSpot

আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানুন এবং সুস্থ থাকুন।

No comments

Powered by Blogger.