গর্ভকালীন বা মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিস

অনেক সময় গর্ভবতী অবস্থায় প্রসূতিদের ডায়াবেটিস ধরা পড়ে কিন্তু প্রসবের পর ডায়াবেটিস আর থাকে না। এই প্রকার জটিলতাকেই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস বলা হয়

গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস গর্ভবতী নারী, প্রসূতি কিংবা সদ্য প্রসূত শিশু সকলের জন্যই বিপজ্জনক হতে পারে। বিপদ এড়ানোর জন্য গর্ভকালীন অবস্থায় রোগীকে প্রয়োজনে ইনসুলিনের মাধ্যমে বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার হতে পারে। গর্ভবতী অবস্থায় মায়ের শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে ইনসুলিন প্রয়োজন হয়, রক্তের গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখার জন্য। যদি এই ইনসুলিন তৈরিতে শরীর অক্ষম হয় তাহলে ওই গর্ভবতী মায়ের গর্ভাবস্থায় রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়, অর্থাৎ মাতৃত্বকালীন বা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়। মাতৃত্বকালীন ডায়াবেটিসের জন্য প্লাসেন্টাল হরমোনও দায়ী।

 অন্যান্য সূনির্দিষ্ট কারণ ভিত্তিক ডায়াবেটিসঃ-

জেনেটিক বা বংশগত কারনে ইনসুলিন তৈরী কম হলে।

জেনেটিক বা বংশগত কারনে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা কমে গেলে।

নানান ধরনের সংক্রামক ব্যধির কারনে।

অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগের কারনে।

ঔষধ ও রাসায়নিক দ্রব্যের সংস্পর্শে আসলে।

অন্যান্য হরমোনের পরিমান বৃদ্ধি পেলে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণসমূহঃ-

স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে,  “যে কোন অজানা কারণে প্যানক্রিয়াসের বেটা সেল (Beta Cell) ধ্বংস প্রাপ্ত হয়। এর ফলে ইনসুলিন তৈরিতে প্যানক্রিয়াস সম্পূর্ণ অথবা আংশিক ভাবে ব্যাহত হয়। ইনসুলিনের অভাবের কারণে রক্তের গ্লুকোজ আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়ায় অংশ নিতে পারে না। এর ফলে রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়।“ 

যে কেউ যে কোনো বয়সে যেকোনো সময় ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারেন।

তবে নিম্নোক্ত শ্রেণীর ব্যক্তিদের মধ্যে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকেঃ

জেনিটিক কারণঃ যাদের বংশে বিশেষ করে বাবা-মা বা রক্ত সম্পর্কিত নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে।

শারীরিক কারণঃ যাদের ওজন অনেক বেশি।

যারা ব্যায়াম বা শারীরিক পরিশ্রম করেন না।

যারা বহুদিন ধরে কর্টিসোল জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করেন।

যেসব মহিলার গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস ছিল।

যাদের রক্তচাপ আছে এবং রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকে।

যেসব অবস্থায় ডায়াবেটিস প্রকাশ পাবার সম্ভাবনা থাকেঃ

১. শারীরিক স্থুলতা

২. গর্ভাবস্থা

৩. ক্ষত

৪. আঘাত

৫. অস্ত্রোপচার

৬. মানসিক বিপর্যয়

৭. রক্তনালীর অসুস্থতার কারণে হঠাৎ করে মস্তিষ্কের রোগ হলে।

ডায়াবেটিস কি সারানো যায়?

ডায়াবেটিস রোগ সারে না। এ রোগ সারা জীবনের রোগ। তবে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ রোগকে খুব ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়াবেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে প্রায় স্বাভাবিক জীবন-যাপন সম্ভব।

স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রয়োজনীয় তথ্য, সাধারন স্বাস্থ্য-সমস্যা ও সমাধান, দৈনন্দিন স্বাস্থ্য-ঝুঁকি; সম্পর্কে আপনার সাধারন জ্ঞানের পরিধি বাড়াতে চোখ রাখতে পারেন-ঃ

Youtube (HealthSenseBangla)

Facebook (ShahPharmachy)

Twiter (shah_pharmacy)

Instagram (ShahPharmacy)

BlogSpot

আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানুন এবং সুস্থ থাকুন।

No comments

Powered by Blogger.